চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার দাবীতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন। - NEXT24NEWS

NEXT24NEWS

পরবর্তী ২৪ ঘন্টার খবর

Boxed(True/False)

test banner

Breaking

Home Top Ad

Responsive Ads Here

Post Top Ad

Responsive Ads Here

Wednesday, April 4, 2018

চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার দাবীতে এলাকাবাসীর মানববন্ধন।

 

নাজমুল হাসান নিরব,চরভদ্রাসন থেকেঃ
ফরিদপুর চরভদ্রাসন উপজেলার একমাত্র চিকিৎসার ঠিকানা চরভদ্রাসন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। কিন্তু দীর্ঘদিন যাবৎ ডাক্তারদের দুর্নীতি, ডাক্তারদের অনউপস্থিতি ও ডাক্তারহীনতার জন্য কোন ধরনের সেবা পাচ্ছেন না এলাকাবাসী।
তারই পরিপেক্ষিতে এলাকাবাসী ক্ষুদ্ধ হয়ে আজ বুধবার সকাল ১০ টায় এক মানব বন্ধনের ডাক দেয়।
মানব বন্ধনে এলাকার গনমান্য ব্যাক্তি,মেম্বারগন,রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব ও সর্বসাধার উপস্থিত হন।মানব বন্ধনের কর্মসূচি চরভদ্রাসন উপজেলা ভূমি অফিসের সামনে থেকে শুরু করে সদর বাজার প্রদক্ষিন করে উপজেলা স্বাস্থ কমপ্লেক্সর সামনে অবস্থান করে।এ সময় হাসপাতালের সমস্যা সমাধানে বক্তব্য দেন ওয়ার্ড মেম্বার বোরহান মোল্যা,ফানু মেম্বার,সমাজসেবক টিটু,জাহিদ মোল্যা,উক্ত মানব বন্ধনের সভাপতিত্ব করেন মোতালেব মোল্যা।
তিনি তার বক্তব্যে বলেন,অনেক সহ্য করেছি আর না।প্রধানমন্ত্রী দেশের প্রত্যেকটা উপজেলার উন্নয়নে পর্যাপ্ত ডাক্তার ও বিভিন্ন চিকিৎসা ফ্রী করেছেন।ফ্রী করেছেন ২৭ প্রকার ঔষুধ কিন্তু আমরা তার কিছুই পাই না।আমরা কেন অবহেলিত হব।আমরা এই সমস্যার সমাধান চাই।উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত টি এস কে হুশিয়ারী দিয়ে তিনি বলেন,আমরা ৭ দিনের মধ্যে দাক্তার চাই,চাই সেবা, চাই ঔষোধ। যদি না পাই তাহলে আমরা আন্দলনের আরো কঠোর অবস্থান করব।আমরা আর বসে থাকব না।
তিনি এই স্বাস্থ্য সমস্যা সমাধানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার,জেলা সিভিল সার্জন, জেলা প্রশাসক মাননীয় মন্ত্রী মহোদয়প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন
মানব বন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়।এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার ছুটিতে থাকায় তার পক্ষ হতে তার সহয়ক স্মারকলিপি গ্রহন করেন।

জানা যায়,বেশ পুরোনো হাসপাতাল এটি,একসময় খুব চালু ছিল।মুহুর্তেই সেবা মিলত এই হাসপাতালে।কিন্তু বছর দশেক যাবৎ এই হাসপালের অবস্থা খুবই করুন।
হাসপাতাল পরিদর্শনে গেলে দেখা যায় গেটটি পুরোপুরি ভাঙাচুরা,তারপর গেট ল্যাম্প,ল্যাম্প স্টান্ড  ভাঙাচুরা,দেখা যায় রাত্রিবেলা বাইরে কোন আলোক ব্যাবস্থা নেই।হাতপাতালের গুরুত্বপূর্ণ রুমগুলোতে ভাঙাচুড়া আসবাপত্র পড়ে রয়েছে।ঔষোধের রুমটাও তালামারা মনে হচ্ছে বেশ পুরোনো।এরপর এক্সরে রুম,অপারেশন থিয়েটার (O,T)তালা মারা।দোতলায় দেখা যায় পুরুষ ওয়ার্ডে ২ জন রোগী পড়ে আছে।আর মহিলা ওয়ার্ডে ৫ জন।নেই কোন নার্স নেই কোন ডাক্তার।কর্মরত ডাক্তারদের রুমটা দেখা যায় তালামারা এবং অকেজো।

রোগিদের কাছে জানতে চায়লে তারা জানায়,ডাক্তারতো নেই।আর নার্সদের ডাকলে ও পাওয়া যায় না।কোন পানি ব্যাবস্থা নেই।খাবারটাও খাওয়া যায় না।বাতরুম,টয়লেট সবকিছুই প্রচুর নোংরা।
তারা আরো জানায়, "আমরা গরীব মানুষ তাই পরে রইছি,টাকা থাকলে ফরিদপুরে যাইতাম এইহানে মানুষ থাকে না"।
হাসপাতালের এই বেহাল দশা দেখে আমাদের অবস্থাই খুব খারাপ।
এদিকে এক ভুক্তভোগি জানায়, সামান্য কোন সমস্যার জন্য হাসপাতালে গেলে তারা আমাদের ফরিদপুরে চলে যেতে বলে।এতে রোগীর প্রানের আশংকা হয়ে পড়ে।এখানে সুস্থ মানুষ অসুস্থ হয়ে যায়, এখানে কোন ডাক্তার নেই।

No comments:

Post a Comment

Post Bottom Ad

Responsive Ads Here

Pages