নাজমুল নিরব খান,ফরিদপুর চরভদ্রাসন থেকেঃ
ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় প্রাণী সম্পদ ও উন্নয়ণ কেন্দ্রে সোমবার
প্রানিসম্পদ সেবা সপ্তাহ ২০১৮ উপলক্ষে র্যালী
ও আলোচনা করা হয়।কিন্তু কোনো সেবা নেই বলে দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে চলেছেন পশু পালকরা। তবুও সোমবার ঢাকঢোল পিটিয়ে সেবা সপ্তাহর নামে র্যালী ও উত্তর আলোচনা সভা করেছেন সংশ্লিষ্টরা। উক্ত পশু হাসপাতালটিতে ভেরেটনারী সার্জন নেই, চারটি ইউনিয়নে একজনও ফিল্ড এসিষ্টেন্ট নেই, ভিএফএ নেই, এমনকি পিয়ন পর্যন্ত না থাকলে হাসপাতালে অর্থ ছাড়া কোনো সেবা পান না বলে অভিযোগ উপজেলার গৃহস্থদের।
এ ব্যপারে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ দিবস রঞ্জন বাক্চীকে জিজ্ঞেস করলে তিনি জানান, “ উপজেলায় চারটি ইউনিয়নে চারটি সাব-সেন্টার রয়েছে। কোনো একটিতেও ফিল্ড এসিষ্টেন্ট নেই। তাই অফিসিয়াল স্বাক্ষরগুলো সেরেই আমি ফিল্ডে চলে যাওয়ার ফলে উপজেলা প্রাণী সম্পদ ও উন্নয়ণ কেন্দ্রটি প্রায়ই অচল থাকে”।
খোজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলা প্রানী সম্পদ কেন্দ্রটি সেবার বদলে জনহয়রানীর শিকার হচ্ছেন পশু পালকরা। পদ্মার চরাঞ্চল বেষ্টিত কৃষি প্রধান অত্র উপজেলায় প্রায় প্রত্যেক পরিবারে প্রচুর পরিমানে হাঁস, মুরগী, গরু, ছাগল পালন করা হয়। দীর্ঘ দিন ধরে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কেন্দ্রে কোনো চিকিৎসা প্রদান না করায় কৃষকরা মরনাপন্ন হচ্ছেন বাজারের ঔষধের দোকানে। এতে অর্থদন্ডি দিয়েও যথাযথ চিকিৎসা পাচ্ছেন না গৃহস্থরা। উপজেলা সদরে বালিয়া ডাঙ্গী গ্রামের মুরগী ও গরু ফার্মের মালিক আঃ ওহাব মোল্যা (৩৫) জানান, “ নিজে স্বাবলম্বী হওয়ার আশায় কয়েক লাখ টাকা খাটিয়ে ফার্ম দিয়েছি, বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে দিনের পর দিন পশু হাসপাতালে ঘুরাঘুরি করছি, কোনো ডাক্তারও পাইনা কোনো ঔষধও পাই না”।
সোমবার বিকাল ৩ টায় উপজেলা প্রানী সম্পদ ও উন্নয়ন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, হাসপাতালের ভিতরে সবকটি গেইট এবং কর্মকর্তা-কর্মচারীর কক্ষগুলো তালা ঝুলছে। হাসপাতালটি পশু ও জনশূন্য রয়েছে। হাসপাতালের সামনে রাস্তার উপর দাড়িয়ে আছেন সহকারী কর্মকর্তা আফছার উদ্দিন সেলিম। তিনি বলেন, “ সেবা সপ্তাহর উদ্বোধনী দিনে র্যালী ও আলোচনা সভা করে সবাই চলে গেছেন”।
এদিকে চরভদ্রাসন প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক
যুগান্তরের প্রতিনিধি মো: মেজবাহ উদ্দিন বলেন
,আজকে
যে চরভদ্রাসনে প্রানিসম্পদ সেবা সপ্তাহ পালিত হচ্ছে সেটা আমাদের গনমাধ্যম কর্মীদের
জানানো হয় নি।দীর্ঘ ১৮ বছরের সাংবাদিকতায় এরকম কোন অনুষ্ঠান দেখিনি।
No comments:
Post a Comment