নাজমুল নিরব খান,চরভদ্রাসন ফরিদপুর থেকেঃ
ফরিদপুর চরভদ্রাসন থেকে পদ্মা পাড় হলেই ঢাকা জেলার দোহার থানা। তাই অনেক সহজে অল্প ব্যায়ে, ও কম সময়ে এই নৌ রাস্তায় চরভদ্রাসনে আসা যায়।এছাড়া চরভদ্রাসন থেকে একমাত্র যোগাযোগ পথ এটাই।
আজ বিকাল ৩টার দিকে স্কুল ছুটি দিয়ে টলার যোগে পদ্মা নদী পাড়ি দিয়ে হাজিগঞ্জের দিকে আসতেছিলেন এক শিক্ষক ও কিছু যাত্রী। নদীর মাঝ পথে এসে তারা দেখতে পেলেন একটি বড় টলার নদীর মাঝ খানে ভাসতেছে। আর মাঝি টলারের উপরে উঠে তাদের উদ্দেশ্য করে হাতের ইশারায় তার দিকে ডাকছে।সাথে সাথেই এই টলারটা কে ওই দিকে ঘুরিয়ে দেন তারা ।একটু কাছে গিয়ে দেখাগেল টলারের মধ্যে শুধু তিন জন অর্ধ বয়সী মহিলা আর ১৮-২০ বছরের একটি মেয়ে একটি ছোট ছেলে কে জরিয়ে ধরে শুধু চিৎকার করতেছে। ওই টলারে পুরুষের মধ্যে ছিল শুধু মাঝি আর যাত্রীদের মধ্যে শুধু ওই তিনজন মহিলা একটি মেয়ে আর এই ছোট নিষ্পাপ শিশুটি। তারা দোহার থেকে এসেছে যাবে হাট কূষ্ণপুর এই মহিলার বোনের বাড়িতে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে।
ঐ স্যারের কাছ থেকে জানা যায়""আমরা একবারে কাছে গিয়ে দেখি ছেলেটির দুটি হাত ই কাটা আর হাত বিহীন রক্তাক্ত দেহটা এই ভদ্র মহিলা তার বুকের মধ্যে জড়িয়ে ধরে আছে। সবাই মিলে শুধু চিৎকার করে কান্নাকাটি করতেছে।সাথে সাথে ই মাঝির কাছে জানতে পারলাম ছেলেটি টলারের কাঠ ভেঙ্গে ইঞ্জিনের মধ্যে পরে গিয়ে হাত দুটি কেটে গেছে আর এর সাথে টলারের ইঞ্জিন টা ও নষ্ট হয়ে গেছে। ৩০ মিনিট যাবৎ নদীর মধ্যে অজানা ঠিকানায় ভাসতেছে।আমাদের টলার থেকে যে ই ছেলেটিকে দেখছে সেই তার দু হাত দিয়ে নিজের চোখ দুটিকে আটকিয়ে ফেলছে। আমি এ অবস্থায় ছেলে টিকে দেখা মাত্র ই মাঝির সহয়তায় আমাদের টলারে নিয়ে আসি এবং আল্লাহর রহমতে শেষ পর্যন্ত হাজিগঞ্জ বাজারে এনে ফরিদপুর হসপিটালের উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দিতে সক্ষম হই।""
রাত ৮টার দিকে জানা যায় ছেলেটি ফরিদপুর মেডিকেল হসপিটালে I.C.O তে আছে।আর তার হাত দুটিকে চরভদ্রাসন থানায় পুলিশ হেফাজতে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
সবাই এই নিষ্পাপ শিশু টির জন্য দোয়া করবেন ওর হাত দুটি গেলে ও আল্লাহ যেন ওকে বাঁচিয়ে রাখেন।
No comments:
Post a Comment